শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

সামাজিক দ্বন্দ্বের জেরে কুষ্টিয়ায় ইউপি সদস্য হত্যা 

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

সামাজিক দ্বন্দ্বের জেরে কুষ্টিয়ায় ইউপি সদস্য হত্যা 

সামাজিক দ্বন্দ্বের জেরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার গোস্বামী দুর্গাপুর ইউপি ৭নং ওয়ার্ড সদস্য মামুনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ওই গ্রামে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
 
শনিবার (২৪ আগস্ট) উপজেলার আসাননগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মামুন একই ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য হাবিল মেম্বরের ছেলে। ঘটনাস্থলে থাকা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি (তদন্ত) রাকিবুল হাসান  বলেন, ওই গ্রামে ওহাব-  গোলাপ গ্রুপের সঙ্গে ইউপি সদস্য মামুন-ইয়াহিয়া গ্রুপের দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।

দীর্ঘদিন ধরে এলাকার আধিপত্য বিস্তার  নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ লেগেই থাকতো। কয়েকদিন আগে ওহাব গ্রুপের কলিমুল্লাহ নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে মামুন গ্রুপের লোকজন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এরই জের ধরে গত শুক্রবার থেকে দুই গ্রুপ আবারো সংঘর্ষে জড়িয়ে পডে।

 দফায় দফায় চলা সংঘর্ষে শনিবার (২৪ আগস্ট) প্রতিপক্ষের লোকজন ইউপি সদস্য মামুনের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের প্রায় ২০/২৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ১০ থেকে ১২ জনকে গুরুতর অবস্থায় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

ময়নাতদন্তের জন্য মামুনের মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওসি রাকিবুল হাসান আরও জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দুই গ্রুপ পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। ঘটনা সেনাবাহিনী জানতে পারলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পুলিশের সঙ্গে যোগ দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

এলাকার মানুষ হামলা লুটপাটের ভয়ে গ্রাম ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।  গোস্বামী দুর্গাপুর ইউপি চেয়ারম্যান লাল্টু রহমান বলেন, এই সংঘর্ষ গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে। এখানে কোন রাজনৈতিক ইস্যু নেই। দুই গ্রুপের মধ্যে সব দলের লোকজন আছে। 

তিনি জানান, ওই গ্রামের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব অনেক আগে থেকেই চলছে। এরই জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আমার পরিষদের এক সদস্য নিহত হয়েছেন।

টিএইচ